শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়
আস্সালামু আলাইকুম
সকলের সু-স্বাস্থ ও মঙ্গল কামনা করে শুরু করছি
আজকের শিশু আগামী দিনের পরিপূর্ণ মানুষ ও জাতির উজ্জল ভবিষ্যৎ। এ জন্য মায়ের গর্ভধারনের প্রারম্বিক থেকে শিশুর শৈশব অবদি নিয়মানুযায়ি রুটিন মাফিক সঠিক সিদ্ধান্ত ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে সুস্থ ভাবে গড়ে তোলা একজন মা ও বাবার নৈতিক দ্বায়িত্ব । এই কিছু বছরের কার্যকলাপের উপর শিশুর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে । আপনার অবহেলাই শিশুর জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে । শিশুর সুন্দর শৈশব এবং অনাবিল ভবিষ্যৎতের জন্য দরকার সঠিক ভাবে বেড়ে উঠা।
শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়Excellent ideal school is the best online education bd
একটি শিশুকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য করনিয় বিষয়াদি:
Excellent ideal school is the best online education bd
গর্ভোবতী মায়েদের খাবার তালিকা কেমন হওয়া দরকার :
গর্ভোবতী মায়ের যেকোন অবহেলা বা সমস্যাই প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভে থাকার শিশুর উপর এই জন্য মা ও মায়ের অভিবাবক উভয়েরই সতর্ক থাকতে হবে । কারন উৎপাদন কারী মেশিন যদি কোন প্রকার খারাপ হয় তবে উৎপাদিত জিনিস খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি ? ( বুঝানোর জন্য বলা )
সন্তান প্রসবের আগে করনিয়:- শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়
১। সর্ব প্রথম দু:চিন্তা থেকে একে বারেই মুক্ত থকতে হবে ।
২। ডাক্তারের সাথে পরামর্শনুযায়ী পরিমিত খাবার গ্রহন করতে হবে । মনে রাখবেন শিশুর মেধা বিকাশের জন্য পরিমিত পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য ।
৩। খাবার তালিকায় সবুজ শাক-সবজি ও টাটকা ফলমুলসহ সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সঠিক পরিমানে গ্রহন করতে হবে ।
৪। লৌহ ও ফলিক এসিড : গর্ভবতী মায়ের শরীরে দৈনিক ০.৪ গ্রাম ফলিক এসিড প্রয়োজন হয়। ফলিক এসিডরে অভাবে বাচ্চার মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জুতে জম্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে । এই জন্য ডিমের কুসুম, ডাল, কলিজা, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ থেকে আয়রনের চাহিদা পূরণ হতে পারে।
৫। ক্যালসিয়াম : নবজাত শিশুর হাড় গঠনের জন্য শেষ তিন মাস মাকে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে । যেমন : দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ক্যালসিয়ামের ভাল উৎস ।
৫। সারাক্ষন শুয়ে বা বসে কাটানো যাবে না প্রতি আধা ঘন্টা অন্তর অন্তর ৫ থেকে ১০ মিনিট হাটতে হবে।
৬। সবসময় স্বাভাবিক থাকতে হবে । যেমন : একজন সুস্থ মানুষ যেরকম থাকেন।
৭। ৫ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
সন্তান প্রসবের পরে করনিয়:-
৮। প্রসবের পর মায়ের বুকের শালদুধ সন্তান কে খাওয়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে একটা ভুল ধারনা আছে যে মায়ের বুকের শালদুধ শিশুকে খাওয়াতে নেই । কিন্তু গবেষনায় দেখা গেছে শিশুর বিকাশ ও সুস্থ থাকার প্রথম টিকা হচ্ছে মায়ের বুকের শালদুধ । তাই নিশ্চিন্তে সন্তান প্রসবের পর পরই মায়ের কাছে দিতে হবে শালদুধ পান করানোর জন্য ।
শালদুধের উপকারিতা :
অধিক পরিমান প্রোটিন ও ভিটামিন, ক্যালোরি ও ইমিউনো গ্লোবিউলিন যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়
৯। শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাস শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছুই দরকার নেই । মায়ের বুকের দুধে আল্লাহ সবধরনের উপাদান পরিমিত ভাবে দিয়েছেন।
১০। বাচ্চাকে দুধ খা ওয়ানো বন্ধ করবেন না । ৬মাস থেকে ৮ মাস অবদি বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিসম্পন্ন খাবার খাওয়ানো।দুধের পাশাপাশি তাকে চাল, ডাল, বিভিন্ন শব্জি যেমন পেঁপে, আলু, ঢেঁড়স ইত্যাদি দিয়ে পাতলা খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ান। মসলা পরিহার করবেন। স্বাদের জন্য অল্প লবন দিতে পারেন। প্রথমে শুরু করবেন ১ টেবিল চামচ খাবার নিয়ে। খেয়াল রাখবেন খাবার যেন পাতলা হয় তবে জুসের মতন যেন না হয়ে যায়। বাচ্চা খিচুড়ি খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পরিমান বাড়াবেন। এক টেবিল চামচের জায়গায় তখন ২ টেবিল চামচ দিতে পারেন। এবং সেই সাথে খিচুরিটাও ধীরে ধীরে ঘন করে তৈরি করে দিতে হবে। খিচুড়ির সাথে সাথে বাচ্চাদের অনেকেই সেরিলাক দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে পরিমাপ দেয়াই থাকে, সেভাবে বানিয়ে দিতে পারেন। ৮ মাসের পর তাকে শক্ত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন ।
১১। টিকা : অবশ্যই মায়েদের খেয়াল রাখতে সন্তান জন্মের পর ও পরবর্তি টিকা গুলো দিতে হবে । শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়
১২। শিশুর সাথে সুদ্ধ ও সুন্দর ভাষায় কথা বলতে হবে। কোন ধরনের গালমন্ধ ও খারাপ আচরন শিশুর সাথে বা সামনে করা যাবে না । এ সময়টা শিশুর শিক্ষার সয়ম এখন যা দেখবে , শুনবে সেটাই সে শিখবে আর সেভাবেই সে বড় হবে ।
সকলের সু-স্বাস্থ ও মঙ্গল কামনা করে শুরু করছি
আজকের শিশু আগামী দিনের পরিপূর্ণ মানুষ ও জাতির উজ্জল ভবিষ্যৎ। এ জন্য মায়ের গর্ভধারনের প্রারম্বিক থেকে শিশুর শৈশব অবদি নিয়মানুযায়ি রুটিন মাফিক সঠিক সিদ্ধান্ত ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে সুস্থ ভাবে গড়ে তোলা একজন মা ও বাবার নৈতিক দ্বায়িত্ব । এই কিছু বছরের কার্যকলাপের উপর শিশুর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে । আপনার অবহেলাই শিশুর জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে । শিশুর সুন্দর শৈশব এবং অনাবিল ভবিষ্যৎতের জন্য দরকার সঠিক ভাবে বেড়ে উঠা।
শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়Excellent ideal school is the best online education bd
একটি শিশুকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য করনিয় বিষয়াদি:
Excellent ideal school is the best online education bd
গর্ভোবতী মায়েদের খাবার তালিকা কেমন হওয়া দরকার :
গর্ভোবতী মায়ের যেকোন অবহেলা বা সমস্যাই প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভে থাকার শিশুর উপর এই জন্য মা ও মায়ের অভিবাবক উভয়েরই সতর্ক থাকতে হবে । কারন উৎপাদন কারী মেশিন যদি কোন প্রকার খারাপ হয় তবে উৎপাদিত জিনিস খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি ? ( বুঝানোর জন্য বলা )
সন্তান প্রসবের আগে করনিয়:- শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়
১। সর্ব প্রথম দু:চিন্তা থেকে একে বারেই মুক্ত থকতে হবে ।
২। ডাক্তারের সাথে পরামর্শনুযায়ী পরিমিত খাবার গ্রহন করতে হবে । মনে রাখবেন শিশুর মেধা বিকাশের জন্য পরিমিত পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য ।
৩। খাবার তালিকায় সবুজ শাক-সবজি ও টাটকা ফলমুলসহ সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সঠিক পরিমানে গ্রহন করতে হবে ।
টাটকা ফলমুল শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয় |
৫। ক্যালসিয়াম : নবজাত শিশুর হাড় গঠনের জন্য শেষ তিন মাস মাকে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে । যেমন : দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ক্যালসিয়ামের ভাল উৎস ।
দুধ শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয় |
৬। সবসময় স্বাভাবিক থাকতে হবে । যেমন : একজন সুস্থ মানুষ যেরকম থাকেন।
৭। ৫ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
সন্তান প্রসবের পরে করনিয়:-
৮। প্রসবের পর মায়ের বুকের শালদুধ সন্তান কে খাওয়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে একটা ভুল ধারনা আছে যে মায়ের বুকের শালদুধ শিশুকে খাওয়াতে নেই । কিন্তু গবেষনায় দেখা গেছে শিশুর বিকাশ ও সুস্থ থাকার প্রথম টিকা হচ্ছে মায়ের বুকের শালদুধ । তাই নিশ্চিন্তে সন্তান প্রসবের পর পরই মায়ের কাছে দিতে হবে শালদুধ পান করানোর জন্য ।
মা সন্তানকে শালদুধ খাওয়াচ্ছেন শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয় |
অধিক পরিমান প্রোটিন ও ভিটামিন, ক্যালোরি ও ইমিউনো গ্লোবিউলিন যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়
৯। শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাস শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছুই দরকার নেই । মায়ের বুকের দুধে আল্লাহ সবধরনের উপাদান পরিমিত ভাবে দিয়েছেন।
১০। বাচ্চাকে দুধ খা ওয়ানো বন্ধ করবেন না । ৬মাস থেকে ৮ মাস অবদি বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিসম্পন্ন খাবার খাওয়ানো।দুধের পাশাপাশি তাকে চাল, ডাল, বিভিন্ন শব্জি যেমন পেঁপে, আলু, ঢেঁড়স ইত্যাদি দিয়ে পাতলা খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ান। মসলা পরিহার করবেন। স্বাদের জন্য অল্প লবন দিতে পারেন। প্রথমে শুরু করবেন ১ টেবিল চামচ খাবার নিয়ে। খেয়াল রাখবেন খাবার যেন পাতলা হয় তবে জুসের মতন যেন না হয়ে যায়। বাচ্চা খিচুড়ি খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পরিমান বাড়াবেন। এক টেবিল চামচের জায়গায় তখন ২ টেবিল চামচ দিতে পারেন। এবং সেই সাথে খিচুরিটাও ধীরে ধীরে ঘন করে তৈরি করে দিতে হবে। খিচুড়ির সাথে সাথে বাচ্চাদের অনেকেই সেরিলাক দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে পরিমাপ দেয়াই থাকে, সেভাবে বানিয়ে দিতে পারেন। ৮ মাসের পর তাকে শক্ত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন ।
১১। টিকা : অবশ্যই মায়েদের খেয়াল রাখতে সন্তান জন্মের পর ও পরবর্তি টিকা গুলো দিতে হবে । শিশুদের মেধা বিকাশে করনীয়
১২। শিশুর সাথে সুদ্ধ ও সুন্দর ভাষায় কথা বলতে হবে। কোন ধরনের গালমন্ধ ও খারাপ আচরন শিশুর সাথে বা সামনে করা যাবে না । এ সময়টা শিশুর শিক্ষার সয়ম এখন যা দেখবে , শুনবে সেটাই সে শিখবে আর সেভাবেই সে বড় হবে ।
No comments